রতের ঋণ ব্যবস্থা সম্পর্কে লেখা; মাইক্রো-ক্রেডিট ও অন্যান্য প্রকল্পের ব্যাপারে অালোচনা |
প্রবন্ধে প্রাচীন ভারতের অাইন ব্যাবস্থায় সুদের হার সম্পর্কে একটি তথ্যের উল্লেখ ছিল |
মনুসংহিতার অষ্টম বিভাগে বলা হয়েছে সুদের হার হবে বর্ণ অনুযায়ী | ব্রাক্ষণের জন্য শতকরা ২
ভাগ, ক্ষত্রিয়ের ৩ ভাগ, বৈশ্যের ৪ ভাগ ও শূদ্রের ৫ ভাগ | অাইনটা কতকটা অাশর্চযের বটে,
তবে প্রবন্ধে বলা হয়েছে যে অন্যান্য সংহিতায় এই বৈষম্য সম্পর্কে একটা যুক্তি দেওয়া অাছে |
বলা হয়েছে, ব্রাক্ষণ ধার করে থাকেন যাগযজ্ঞের জন্য, ধার করা অর্থের পরিমাণ অল্প, অর্থের
ব্যাবহারে অনিশ্চয়তা কম, তাই সুদের হার কম |
ক্ষত্রিয় ধার করবেন যুদ্ধের জন্য, রাজ্য জয়ের জন্য | অর্থের পরিমাণ বেশি, অনিশ্চয়তা বেশি,
তাই সুদের হারও বেশি |
বৈশ্য ধার করবেন ব্যাবসা বাণিজ্যের জন্য, অনিশ্চয়তা ও পরিমাণ অত্যন্ত বেশি | শূদ্র ধার
করবেন উপভোগ করার জন্য | অানন্দ উপভোগে অর্থ ব্যবহৃত হলে মূল বা সুদ ফেরত পাওয়ার সম্ভাবনা
কম, সুদের হারও তাই বেশি |
ঠিক ভাবে বিচার করলে, সুদের হার অাপাতদৃষ্টিতে বর্ণভিত্তিক হলেও, তার পিছনে কাজ করছে
সূক্ষ বৈষয়িক যুক্তি | বর্ণের সামাজিক অবস্থান নয়, অর্থনৈতিক অবস্থার উপর ভিত্তি করেই এই
নিয়ম, কতকটা অাজকের ভাষায় "এটা এক ধরনের risk premium - অনিশ্চয়তা যত বাড়বে, তত
সুদের হার হবে বেশি" |
--
-----------------------------------------------------
Debajyoti Bera @ http://dtecht.blogspot.com
beagle / KDE fan
Mandriva / Inspiron-1100 user
No comments:
Post a Comment